বৃহষ্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৫৩


আন্তর্জাতিক ডেস্ক photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫-৯-২০২৫ দুপুর ১:০

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে নতুন করে ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলায় গাজা সিটিতে একাধিক টাওয়ার ধ্বংস করা হয়েছে। এদিকে ক্ষুধায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২২ জনে পৌঁছেছে।

জাতিসংঘ ও মানবিক সংস্থাগুলো সতর্ক করছে, গাজায় কোথাও আর নিরাপদ আশ্রয় নেই। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় নতুন অভিযানে একদিনে আরও অন্তত ৫৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং গাজা সিটির ১৬টি ভবন ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে তিনটি আবাসিক টাওয়ারও রয়েছে। এই অভিযান উত্তরাঞ্চলের নগর কেন্দ্র দখল ও সেখানকার জনগণকে উৎখাতের লক্ষ্যেই পরিচালিত হচ্ছে।

রোববার নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপুষ্টিতে আরও দুজন মারা গেছেন। এ নিয়ে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ক্ষুধায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪২২ জনে।

গাজা সিটির রেমাল এলাকার দক্ষিণে আল-কাওসার টাওয়ারে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। অব্যাহত বোমাবর্ষণে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনি মারওয়ান আল-সাফি বলেন, “আমরা জানি না কোথায় যাব। এই পরিস্থিতির সমাধান দরকার... আমরা এখানে মরছি।”

গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর ইসরায়েলের “পদ্ধতিগত বোমাবর্ষণ” নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এর উদ্দেশ্য আসলে গণহত্যা ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা।

তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল দাবি করছে তারা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তারা “স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শহর ও আবাসিক ভবন, তাঁবু এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থার দপ্তর” ধ্বংস করছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি এক্সে লিখেছেন, শুধু গত চার দিনেই গাজা সিটিতে তাদের ১০টি ভবন হামলার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি স্কুল ও দুটি ক্লিনিকও রয়েছে, যেখানে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। তিনি লিখেছেন, “গাজায় কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়। কেউ নিরাপদ নয়।”

এদিকে অবিরাম হামলায় পরিবারগুলো আবারও দক্ষিণে আল-মাওয়াসির দিকে পালাচ্ছে। এই অঞ্চলকে ইসরায়েল “নিরাপদ অঞ্চল” বলে ঘোষণা করেছে, যদিও সেখানেও বারবার হামলা হয়েছে।

বাস্তুচ্যুত আহমেদ আওয়াদ বলেন, শনিবার উত্তর গাজা থেকে তিনি মর্টার হামলার মধ্যে প্রাণ বাঁচিয়ে পালান। তিনি বলেন, মধ্যরাতে এসে দেখি পানি নেই, টয়লেট নেই, কিছুই নেই। পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ।

Parisreports / Parisreports

অদূর ভবিষ্যতে যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন মামদানি

পাঁচ বন্দিকে মুক্তি দিলেও হামলা থামায়নি ইসরায়েল

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ৭ জন নিহত

গাজা থেকে ফেরত পাওয়া তিন মরদেহ জিম্মিদের নয়: ইসরায়েল

দুই ‍মৃত জিম্মির বদলে ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিলো ইসরায়েল

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত ১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর

লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি, বাংলাদেশিসহ উদ্ধার ৯০

গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর

জ্যামাইকায় মেলিসা ধেয়ে আসছে ২৮২ কিমি বেগে

৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক

যুদ্ধবিরতির পরও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলছে ইসরায়েলের হামলা

ভারতে ছয় বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

আফগান সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত ৩০