রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

ছুটির দিনে ৭ জেলায় সড়কে ঝরল ১৯ প্রাণ


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১-৬-২০২৫ রাত ১:৪৭

যানবাহনের চালকদের অসাবধানতা ও অদক্ষতা, ওভার টেকিং প্রবণতা, লাগামহীন গতিতে গণপরিবহন ও মোটরবাইক চালানোসহ নানা কারণে বেড়েই চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। তাই ধারাবাহিকতায় ছুটির দিন শুক্রবার (২০ জুন) সারাদেশের সাত জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ১৯টি তাজা প্রাণ। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলো থেকে ঢাকা মেইলের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

নিহত ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন ময়মনসিংয়ের ফুলপুরে ছয়জন, তারাকান্দায় তিনজন, নাটোরের বনবেলঘড়িয়ায় চারজন, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে দুজন, গাজীপুরে একজন, জামালপুর সদরে একজন, চট্টগ্রামের বায়েজিদ লিংক রোডে একজন এবং মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একজন।

ময়মনসিংহের ফুলপুরের কোদালদহ এলাকায় শুক্রবার (২০ জুন) রাত ৯টার দিকে যাত্রীবাহী বাস ও মাহিদ্রার সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। তবে এখনো কারও নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। ঘটনার পর বিক্ষুদ্ধ জনতা ওই বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম।  তিনি জানান, শেরপুর থেকে ঢাকাগামী বাসের সঙ্গে ফুলপুরের কোদালদহে বিপরীত দিক থেকে আসা মাহিন্দ্রার সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হয়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহতদের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

এর আগে একই জেলার তারাকান্দা উপজেলার ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কের কোদালধর এলাকায় সন্ধ্যার দিকে অ্যাম্বুলেন্স ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয়ও পাওয়া যায়নি। 

এ তথ্য নিশ্চিত করেন তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. টিপু সুলতান।  তিনি জানান, ‘সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরেকজন। এ দুর্ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’

ওসি আরও জানান, পুলিশ অটোরিকশা ও অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করেছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সের চালক পালিয়ে গেছেন।  নাটোর সদর উপজেলায় বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও দুজন। পরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারাও মারা যান। 

শুক্রবার (২০ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের বনবেলঘড়িয়া বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান ঝলমলিয়া থানার এসআই আবুল কালাম।

নিহতদের মধ্যে একজন হলেন- নাটোর সদরের হাড়িগাছা এলাকার আহাদ আলীর ছেলে অটোরিকশাচালক বাবু হোসেন (৪০)। অন্যদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

Parisreports / Parisreports